চেতনার জাগরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর //Rabindranath Tagore

চেতনার জাগরণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর //Rabindranath Tagore

যুগে যুগে রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক অবিস্মরণীয় নাম। তাঁর রচনাসমূহ যুগে যুগে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং আজও সমান প্রাসঙ্গিক। নিচে তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য রচনা ও তাদের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হলো:

১. 'প্রশ্ন' কবিতার প্রাসঙ্গিকতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'প্রশ্ন' কবিতা

রবীন্দ্রনাথের 'প্রশ্ন' কবিতায় তিনি মানবতার অবক্ষয় ও ন্যায়বিচারের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা আজকের সমাজেও প্রাসঙ্গিক। কবিতার একটি অংশ:

"বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।"

এই পঙক্তি আজও আমাদের সমাজের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।

২. 'হঠাৎ দেখা' কবিতায় মানব সম্পর্কের চিত্রায়ণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'হঠাৎ দেখা' কবিতা

'হঠাৎ দেখা' কবিতায় পুরনো প্রেমের আকস্মিক পুনর্মিলন ও সৃষ্ট আবেগের সূক্ষ্ম চিত্রায়ণ করা হয়েছে, যা আজও পাঠকদের হৃদয় স্পর্শ করে।

"রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা, ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।"

৩. 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের আধুনিকতা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'শেষের কবিতা' উপন্যাস

'শেষের কবিতা' উপন্যাসে আধুনিক সম্পর্কের জটিলতা ও মানব মনের দ্বন্দ্বকে তুলে ধরা হয়েছে, যা বর্তমান যুগেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

"একেবারেই। এখন থেকে কবি-প্রেসিডেণ্টের দ্রুতনিঃশেষিত যুগ।"

৪. রবীন্দ্রনাথের রচনা ও বর্তমান প্রজন্ম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য

আধুনিক যুগে রবীন্দ্রনাথের রচনাসমূহ নতুন প্রজন্মের কাছেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর সাহিত্য আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

৪. সোনার তরী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা

" সোনার তরী" কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য অনুপম রম্য শৈল্পিক সৃষ্টি। সোনার তরী কবিতার মৌলিক গভীরতা রবি ঠাকুরের রূপকর্ধমী ও জগত ও জীবনের আধ্যাত্মিক সত্যের ঋদ্ধ সত্য। সোনার তরী কবিতার সৃষ্টির প্রয়াসে রবীন্দ্রনাথ পূর্ব বাংলার সাধারণ নর নারীর আশা নিরাশা, প্রেম প্রীতি,আবেগ ভালবাসা, সংস্কৃতি, নীতি আর বিশ্বাস,সুখ,শান্তি,মান অভিমান সব সত্যের প্রতি নিজের আত্ম উপলব্ধির প্রত্যয় পরিচয় প্রকাশ করেন। জগত ও জীবনের প্রতীতির সত্য অনুসন্ধানে কবি তাঁর " সোনার তরী"কবিতায় মানব জীবনের একটি চিত্র তুলে ধরেন। মানব জীবন নদীর স্রোতের মত প্রবাহমান তাকে আটকিয়ে রাখার মত আমাদের কোন শক্তি নেই। মানব জীবন এভাবেই অনন্ত অসীম মোহনায় বেগবান। এ অনন্ত যাত্রায় প্রজ্ঞাময় মানব চায় তাঁর সারা জীবনের শ্রম সাধনার জ্ঞান বিজ্ঞানের উপার্জনের জ্ঞান সম্পদ সোনার তরী নৌকায় পার করিয়ে নীজকে ধন্য করতে। কিন্তু না। মানব জাতি চায় তাঁর জ্ঞানের উপার্জনকে। তাঁকে পার করাতে নয়। সোনার তরী কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অনবদ্য মানব জীবনের রূপক ছায়ার আধ্যাত্মিক সত্যের বহিঃপ্রকাশ। যার আত্ম উপলব্ধি শতাব্দীর পরেও এক অভিনব মহা সত্যের অঙ্গীকার।


আপনার মতামত ও মন্তব্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে নিচে আপনার মতামত শেয়ার করুন।

Comments

Popular posts from this blog

Modern Society: Are Smartphones Killing Curiosity?

Education is the spine of nation

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার