ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারীতা
পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক আগে থেকেই ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ করা হয়। এর আরেক নাম বেল পিপার। হাজার বছর আগে থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ চাষ করা হচ্ছে। ক্যাপসিকাম লাল, হলুদ ও সবুজ বর্ণে পাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম বা মিষ্টি মরিচ একটি জনপ্রিয় সবজি। ক্যাপসিকামে ভিটামিন এ এবং সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে ফাইবার, আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ উচ্চ পরিমাণে রয়েছে আর ক্যালরির পরিমাণ সামান্য। ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার বললে মূলত স্বাদ ও সৌন্দর্যের কথা মাথায় আসে। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুধু স্বাদ বা সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয়, স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেও ক্যাপসিকামের তুলনা নেই। সারা বিশ্বে বহুল জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন সবজি হলো ক্যাপসিকাম। বিশেষ করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন হোটেল গুলোতে এটির চাহিদা প্রচুর। ক্যাপসিকাম মূলত মরিচ গোত্রীয় ফসল। তবে এর স্বাদ লংকার মতো নয়, বরং মিষ্টি প্রকৃতির। ক্যাপসিকামের আকার-আকৃতি বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ফলের ধরণ গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। এটি আমাদের দেশের প্রচলিত সবজি না হলেও সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর ধরে এর চাষ ক্রমশই প্রসারিত হচ্ছে। সারা বিশ্বে টমেটোর পরই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজির স্থানে রয়েছে এই ক্যাপসিকাম। ১০০ গ্রামের একটি ক্যাপসিকামে রয়েছে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, ৪ দশমিক ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ দশমিক ৭০ মিলিগ্রাম চর্বি, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ৩৭০ আইইউ ভিটামিন-এ। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণ ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি৬, থায়ামিন, লেবোফ্লেবিস ও ফলিক এসিড পাওয়া যায়।নিজ উপাদানের মধ্যে ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, আয়রন ৩৮০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৭৫ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফ্লোরাইড সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়।
- সি সিকনেস (সমুদ্রে যাওয়ার কারণে তৈরি অসুস্থতা), ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে
ক্যাপসিকাম বেশ কার্যকর।
সি সিকনেস (সমুদ্রে যাওয়ার কারণে তৈরি অসুস্থতা), ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে ক্যাপসিকাম বেশ কার্যকর।
vitamin C
ReplyDelete