কমলা খাওয়ার উপকারীতা
কমলা হচ্ছে এক ধরনের সুস্বাদু ফল । এটি একটি শীতকালীন ফল হলে ও সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। প্রচু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ ফলটি খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ও খুবই উপকারি। তবে এর সঠিক ব্যবহার না করলে ত্বকের পক্ষে সেটা ক্ষতিকারকও হতে পারে। কমলা লেবুর রসে যেমন স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে তেমনি এর খোসাতে ও রয়েছে স্বাস্থ্যগুণ। এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে কমলা রংয়ের হয়ে থাকে ।
* রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায় কমলা। রোজ কমলা খেলে ছোটখাটো রোগবালাই এমনকি বড় রোগও ঘেঁষবে না
ধারেকাছে।
* কমলায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ত্বকের বলিরেখা দূর করে তারুণ্য ধরে রাখে বহু বছর।
* আমাদের শরীরে মাঝে
মাঝে ভিটামিন 'সি'র ঘাটতি দেখা দেয়।
শরীর হয়ে পড়ে নির্জীব। কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি'
রয়েছে। ত্বকের সজীবতা ও শরীরে প্রাণশক্তি এবং কর্মস্পৃহা ধরে রাখতে
কমলা খান প্রতিদিন।
* কমলায় ভিটামিন 'সি'র পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন বি-৬ ও ম্যাগনেসিয়াম।
এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
* ব্রেস্ট ক্যান্সার,
কোলন ক্যান্সার ও স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় কমলা।
* অনেকে চোখের
সমস্যায় ভোগেন। কমলায় রয়েছে ভিটামিন 'এ'। এই ভিটামিন শিশু
থেকে বৃদ্ধ সবার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
* কমলায় রয়েছে প্রচুর
আঁশজাতীয় উপাদান, যা ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
* ফলটিতে অনেক বেশি দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এই দ্রবণীয় ফাইবারকে বলা হয় পেকটিন । পেকটিন রক্তের সাথে শোষিত হওয়ার আগেই মানব শরীরের কোলেস্টেরল দূর করতে অসামান্ন ভূমিকা রাখে।
* ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কমলা খাওয়া খুবই উপকারী। কমলায় উপস্থিত পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রেণে সরাসরি সহয়তা করে। এটি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে। নিয়মিত কমলা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।
* কমলায় যে পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার থাকে তা মেদ কমাতে অত্যন্ত সহয়তা করে । মেদ বাড়তে দেয়না। যা শরীরের ওজন বাড়তে বাধা দেয়। শরীরের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
* কমলা ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপস্থিত আছে। আর এটি বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলির জন্য পরিচিত। ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে কমলার এই উপাদানটি । এটি ত্বক সুন্দর করতেও অত্যন্ত ভুমিকা রাখে।
*কমলাতে ভিটামিন সি রয়েছে যা একটি ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। যা জয়েন্টগুলোতে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এগুলি ছাড়াও, ফিয়ানোট্রিয়েন্ট জেক্সটিং এবং বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিনের জারণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি হাড় সম্পর্কিত ব্যাধি সৃষ্টি করতে রোধ করে।
*কমলা লেবু কিডনির জন্য উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন সি রয়েছে যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে। কমলা লেবু অবশ্যই আপনার ফলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
Comments
Post a Comment